বুধবার (১২ জুলাই) নূরজাহান বেগম ও রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের মেয়ে ফ্লোরা নাসরিন খাঁনের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
নোটিশে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভবনটিকে হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নোটিশে বলা হয়, সওগাত পত্রিকার সম্পাদক নাসিরউদ্দীন, বেগম পত্রিকার সম্পাদক নূরজাহান বেগম এবং শিশু সাহিত্যিক রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই গেণ্ডারিয়ার নারিন্দা এলাকার শরৎগুপ্ত রোডের ৩৮-৩৯ নম্বর বাড়িতে বসবাস করতেন। যেটি ‘নাসিরউদ্দীন স্মৃতি ভবন’ নামে পরিচিত। ১৮৯০ সালের দিকে কিশোরগঞ্জের কোনো এক হিন্দু জমিদার এটি তৈরি করেছিলেন। তাই ১২৭ বছরের এ বাড়িটিকে হেরিটেজ হিসাবে সংরক্ষণ করা যেতে পারে’।
সম্প্রতি নূরজাহান বেগমের ছোট মেয়ের জামাই এ বাড়ি ভেঙে বহুতল ভবন তৈরির চেষ্টা করছেন। বিষয়টি উল্লেখ করে বাড়িটি সংরক্ষণে ফ্লোরা খান গত ০৬ জুলাই প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু এতে তারা সাড়া দেননি। কিন্তু সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে বাড়িটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
নোটিশে বিবাদী করা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র সচিব, সংস্কৃতি সচিব, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার, গেণ্ডরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রকে।
ইউনুছ আলী বলেন, নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাড়িটি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। না হলে হাইকোর্টে রিট করা হবে।
নূরজাহান বেগম বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকতার অগ্রদূত এবং সাহিত্যিক। তিনি সওগাত পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের মেয়ে। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম নারী সাপ্তাহিক বেগম পত্রিকার সূচনালগ্ন থেকে ছয় দশক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার স্বামী রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই।
ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের ২৩ মে ইন্তেকাল করেন নূরজাহান বেগম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
ইএস/এএসআর