রোববার (১৬ জুলাই) বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মতিয়ার রহমান।
মোখলেছুর রহমানের স্ত্রী জেসমিন নাহার বলেন, গত বছরের ৪ আগস্ট রাতে শহরের নিউমার্কেটে গিয়েছিলেন জনি। এ সময় এসআই হিমেল জনিকে আটক করেন। তাকে তিন দিন থানায় রাখা হয়। সে সময় প্রতিদিন থানায় গিয়ে জনিকে খাবার দিয়ে আসতেন জেসমিন। কিন্তু চতুর্থ দিন সকালে গিয়ে আর স্বামীর দেখা পাননি তিনি।
তখন এসআই হিমেল জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। সেই থেকে ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও স্বামীর খোঁজ পাননি তিনি। স্বামীর খোঁজে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়ও পুলিশ ও মানবাধিকার সংস্থার দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কোথাও সুরাহা না পেয়ে তিন মাসের শিশুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে অবশেষে ঢাকায় আসেন। চলতি বছরের ৬ মার্চ হাইকোর্টে রিট (হেভিয়াস কর্পাস) করেন জেসমিন। এরপর হাইকোর্ট রুল জারি করে পুলিশকে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন।
দু’দফা আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে জনিকে আটক করেনি বলে জানায় পুলিশ। পরে হাইকোর্ট ৯ মে বিচারবিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা নিতে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন। সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল্লাহ মাহমুদ তদন্ত শেষে ২৯ জুন হাইকোর্টে এ নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেন।
ওই প্রতিবেদনে এ ঘটনার সঙ্গে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) আলতাফ হোসেন, সদর থানার তৎকালীন ওসি এমদাদুল হক শেখ ও এসআই হিমেল হোসেনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য জড়িত আছে মর্মে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে শুনানি শেষে রোববার আদেশের দিন ধার্য ছিলো।
পরে মতিয়ার রহমান বলেন, বিচারিক প্রতিবেদনে বেশি সময় পেলে আরও তদন্ত করতে পারতেন বলে উল্লেখ করা হয়। এ কারণে আদালত অধিকতর তদন্তে পিবিআইকে দিয়ে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ০৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রেখেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
ইএস/বিএস