ফলে আশিয়ান সিটির আবাসিক প্রকল্পের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সোমবার (০৭ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
আদেশে সর্বোচ্চ আদালত বলেন, আশিয়ান সিটির ওই প্রকল্পের কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন, প্লট বিক্রি ও কোনো ক্রেতার কাছ থেকে অর্থ নেওয়া যাবে না। অর্থাৎ ওই প্রকল্পের সকল কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রোজা। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ফিদা এম কামাল। সঙ্গে ছিলেন সাঈদ আহমেদ কবির ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আশিয়ান সিটির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী।
রাজধানীর উত্তরখান, দক্ষিণখান, বেরাইদ ও বরুয়া বাথুর মৌজায় অননুমোদিত স্থানে আবাসিক প্রকল্প তৈরির অভিযোগ এনে ২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), ব্লাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ, নিজেরা করি, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন রিটটি দায়ের করে।
ওই সময় বেলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, ওই এলাকায় আশিয়ান সিটি প্রথমে ৫৫ একর জমির ওপর অবস্থানগত ছাড়পত্র পায়। তখন আশিয়ানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, তারা কোনো জলাভূমি ভরাট করবে না। কিন্তু তারা কাগজপত্রে ৪৩ দশমিক ১১ একর দেখালেও প্রকল্পে মোট ২৩০ দশমিক ৪৬ একর জমি ভরাট করেছিলো।
২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি ওই প্রকল্পকে অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে আশিয়ান সিটি জেলা প্রশাসকের একটি অনুমতি পত্রসহ হাইকোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেন। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের আগের রায় বাতিল ও রিভিউ মঞ্জুর করেন। অর্থাৎ আশিয়ান সিটি প্রকল্প বৈধ হয়ে যায়।
ওই সময় বেলার আইনজীবী রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছিলেন, ওই প্রকল্পের আকার বেড়ে অন্তত ১ হাজার ১৯৭ একরে দাড়িয়েছে।
এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বেলা। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ আগস্ট হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
সে সময়ও আদেশে সর্বোচ্চ আদালত বলেছিলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে করা (লিভ টু আপিল) আবেদনের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। এ সময়ের মধ্যে আশিয়ান সিটির ওই প্রকল্পের কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন, প্লট বিক্রি ও কোনো ক্রেতার কাছ থেকে অর্থ নেওয়া যাবে না। অর্থাৎ ওই প্রকল্পের সকল কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৭
ইএস/এএসআর