বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এক আইনজীবীর করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) ওই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে এর জবাব দিতে বলে এদিন রুলের শুনানির দিন ধার্য করেন।
শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘জুডিশিয়াল সার্ভিসে আইন সচিবের চাকরির শেষ দিন হচ্ছে ০৭ আগস্ট। তাকে ০৬ আগস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ লাগে। কিন্তু সেটি নেওয়া হয়নি’।
‘এছাড়া সচিব পদে জুডিশিয়াল সার্ভিসের বাইরে কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। আইন সচিব এখন জুডিশিয়াল সার্ভিসে নেই। এমনকি আপিল বিভাগের এক রায়ে বলা হয়েছে, এ পদে চুক্তিভিক্তি নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই’।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হককে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিসের লোক। তার অবসরোত্তর ছুটি বাতিল করে কেবল ওই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে’।
‘আপিল বিভাগের চুক্তিভিত্তিক রায়ের বিষয়টি হলো, অন্য সার্ভিস থেকে কাউকে এনে নিয়োগ দেওয়া। এখানে তার ব্যত্যয় ঘটেনি। সুতরাং, এখানে কোনো ধরনের বেআইনি কিছু হয়নি’।
গত রোববার (০৬ আগস্ট) আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হককে তার অবসরোত্তর ছুটি বাতিল করে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। পরদিন সোমবার (০৭ আগস্ট) তার চাকরির মেয়াদের শেষ দিন ছিল।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সোমবার কাজে যোগ দিয়েছেন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে ২০১৯ সালের ০৭ আগস্ট পর্যন্ত আইন ও বিচার বিভাগের সচিব পদে বহাল থাকবেন আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।
চুক্তিভিত্তিক এ নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী আশরাফ-উজ-জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
ইএস/এএসআর