রোববার (২৭ আগস্ট) রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের উপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউনুছ আলী।
তিনি জানান, পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির ৬ নং অনুচ্ছেদে দ্বিতীয়বার পরিক্ষার্থীদের থেকে ৫ নম্বর কাটা হবে। অন্যদের কাটা হবে না। এটা সমতার লঙ্ঘন। এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক।
২১ আগস্টের পত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর কলামে বলা হয়, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূববর্তী বছরের এইচএসসি উত্তীর্ণদের পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে … মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
ইউনুছ আলী বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর চিকিৎসা সেবা ও স্বাস্থ্য কৌশল চ্যাপ্টার এর এক নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, ‘মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া অব্যাহত থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় কোন প্রার্থী দুই বছরের জন্য অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবে। ’
সুতরাং এ সিদ্ধান্ত শিক্ষানীতির পরিপন্থী। এ কারণে দ্বিতীয়বার এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকা থেকে ৫ নম্বর কেটে নেওয়া অবৈধ নয়, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালক(চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭,২০১৭
ইএস/এমএ