মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল বাংলানিউজকে বলেন, শুধুমাত্র বিসিবি’র পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে আদালত একটি রুল জারি করেছেন।
সুতরাং ২ অক্টোবরের (সোমবার) এজিএম হতে কোনো বাধা নেই। আদেশের সময় বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস ও সাবেক ক্রিকেটার আকরাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী।
পরে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, হাইকোর্ট বিসিবির কমিটি নিয়ে শুধু রুল জারি করেছেন। তবে তাদের (বিসিবির) এজিএম হতে বাধা নেই।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টে রিটটি করেন বিসিবি’র সাবেক পরিচালক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
গত ২৬ জুলাই বিসিবি’র গঠনতন্ত্র–সংক্রান্ত এক মামলায় আপিল বিভাগের দেওয়া রায় নিজেদের পক্ষে দাবি করে আগামী ২ অক্টোবর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে বোর্ডের বর্তমান পরিচালনা পরিষদ।
রিট আবেদনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক জানান, ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর বিসিবি’র বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়। এ পর্ষদকে কার্যক্রম পরিচালনা ও এজিএম-ইজিএম করা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।
এছাড়া ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর গঠিত বিসিবি’র বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে কার্যক্রম চালানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। এ রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ পর্ষদকে কার্যক্রম পরিচালনা ও এজিএম-ইজিএম করা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ চেয়েও আবেদন করা হয়। রিটে বিবাদী করা হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, এনএসসি ও বিসিবি’র সভাপতিসহ সাতজনকে।
এজিএম-ইজিএমসহ বোর্ডের সব কার্যক্রম বন্ধে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিসিবিকে আইনি নোটিশ পাঠান স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। কিন্তু আইনি নোটিশ অনুসারে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় রিট করেন তিনি।
‘বিসিবি’র পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম থেকে কেনো বিরত নয়’
বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
ইএস/জেডএস