বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার পরিবেশ আপিল আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও তাকে আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি সাজু মিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। রায় শোনানো শেষে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২০১২ সালের ১৪ মে স্ত্রী চন্দনাকে হত্যা করেন সাজু মিয়া। হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর গ্রেফতার হন সাজু।
রায়ের বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল চন্দনার সঙ্গে আসামি সাজুর বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্যজীবনে বনিবনা না হওয়ায় ওই বছরের ২ আগস্ট সাজুকে তালাক দেন চন্দনা। কিন্তু পারিবারিকভাবে মীমাংসা হলে ওই বছরের ২৮ অক্টোবর চন্দনা ও সাজুর পুনরায় বিয়ে দেওয়া হয়।
২০১২ সালে চন্দনা মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে অনার্স তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো। তিনি কলেজের ছাত্রী নিবাসে থাকতো। আসামি সাজু পরিকল্পনা মোতাবেক ঢাকায় আসে এবং ২০১২ সালের ১ মে তারিখে আদাবর থানাধীন শেখেরটেক রোডে একটি বাসা সাবলেট নেয়।
ঘটনার দিন রাত সাড়ে দশটার দিকে তাদের ঝগড়া হয় এবং এরই একপর্যায়ে আসামি সাজু ঘরে থাকা কাঁচি (সিজার) দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে চন্দনাকে হত্যা করেন।
রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটের ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আসামি গ্রেফতারের পর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এএফএম রেজাউল করিম হিরন ও আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোরশেদ আলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৭/ আপডেট: ১৩৫৮
এমআই/এএটি/