রোববার (২৯ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সমাজকল্যাণ সচিবকে হাইকোর্টে তলব করে ২৯ অক্টোবর আসতে বলেছিলেন হাইকোর্ট।
এরপর দুই সচিবকে তলব করেন হাইকোর্ট।
গত ১৫ অক্টোবর শিশু আইনে করা মামলায় আটক মো. দেলোয়ার হোসেন ও হেমায়েত উল্লাহ দেওয়ানের জামিন আবেদনের শুনানিকালে সমাজকল্যাণ সচিবকে ডাকেন হাইকোর্ট।
শিশু আইন সংশোধন করতে প্রায় ১০ মাস আগে দেওয়া নির্দেশ কার্যকর না করায় এ বিষয়ে তাকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং আইন প্রণয়ন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ঢাকা, কক্সবাজার ও রংপুরে করা পৃথক চার মামলায় বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান। চারটি মামলার মধ্যে দুটি শিশু আইনে ও অপর দুটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা হয়। পৃথক দুই আইনে দায়ের হওয়া মামলার সাজাও আলাদা।
শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামি প্রাপ্তবয়স্ক হলে তার বিচার কোন আইনে বা কোন আদালতে হবে সে বিষয়ে গত বছরের ১৪ আগস্ট ওই তিন সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। গত বছরের ০৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হলেও কেউই ব্যাখ্যা দাখিল করেননি।
এ কারণে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি হয়। এরপর ডিসেম্বরে তারা আদালতকে জানান, শিশু আইন-২০১৩ সংশোধনের মাধ্যমে অস্পষ্টতা দূর করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই আইন সংশোধনের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ায় হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর