ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সিআইডি’র সেই পরিদর্শকের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৭
সিআইডি’র সেই পরিদর্শকের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা সুপ্রিম কোর্ট

ঢাকা: কোনো মামলা ছাড়াই মাছ ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ গাজীকে নোটিশ দেওয়া সিআইডি পুলিশের সাতক্ষীরা জেলার পরিদর্শক শেখ মেসবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (০৫ নভেম্বর) হাজির হয়ে ওই নোটিশ জারির জন্য মেসবাহ উদ্দিনের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার পর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা এলাকার কাশেম গাজীর ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ গাজীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী উজ্জ্বল হোসেন।

সিআইডি’র পরিদর্শকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।

পরে উজ্জ্বল হোসেন বলেন, হাইকোর্টে দেওয়া লিখিত ব্যাখ্যায় পরিদর্শক শেখ মেসবাহ উদ্দিন বলেছেন- আইন বোঝার ভুলের কারণে অনিচ্ছাকৃতভাবে এটি হয়েছে। এজন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। আদালত তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিষয়টির বিভাগীয় তদন্ত করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন।  

এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেন, আদালত ওই ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
 
ওই ব্যবসায়ীর করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৪ অক্টোবর রুল জারিসহ পরিদর্শক শেখ মেসবাহ উদ্দিনকে নোটিশ জারির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ০৫ নভেম্বর তলব করেন হাইকোর্ট বেঞ্চটি।

উজ্জ্বল হোসেন সেদিন বলেছিলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারা অনুসারে গত ২৩ আগস্ট সিআইডি’র পরিদর্শক শেখ মেসবাহ উদ্দিন আমার মক্কেলকে নোটিশ দেন। ওই নোটিশে বলা হয়, আপনি বিবাদী। আপনাকে নোটিশ প্রদান করা যাচ্ছে যে, আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বাদী। বিধায় ২৯ আগস্ট নিম্ন স্বাক্ষরকারীর অফিসে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো’।

নোটিশে বাদীর নাম উল্লেখ করা হয় সাতক্ষীরার পলাশপোল এলাকার আব্দুল মোকাদ্দেস খান চৌধুরী (মিন্টু চৌধুরী)।

আইনজীবীর দাবি, ‘নিয়মিত মামলা হলে বা মামলার সাক্ষী হলে পুলিশ তলব করতে পারে। কিন্তু এখানে কোনো মামলা হয়নি কিংবা সামাদ গাজী সাক্ষীও নন। তাই ‍তাকে হাজির হতে বলবেন কেন?’

সেদিনের রুলে কোনো মামলা ছাড়াই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারা অনুসারে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চান হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), খুলনা বিভাগীয় সিআইডি’র পুলিশ সুপার (এসপি), সাতক্ষীরার সিআইডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  ও পুলিশ পরিদর্শক শেখ মেসবাহ উদ্দিন এবং মিন্টু চৌধুরীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

ওই নোটিশ অনুসারে তদন্ত কার্যক্রমের ওপরও স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad