টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন এই মামলায় সোমবার (২৭ নভেম্বর) সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী মনিরুল ইসলাম খান জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সোমবার সাক্ষীর জন্য মামলার বাদী নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ, ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুন হাজির হন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, মামলার প্রধান আসামি এমপি রানার পাইলস অপারেশন হয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা ভ্রমণ উপযুক্ত নয়। তাই তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না। পরে বিচারক মো. আবুল মনসুর মিয়া সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ আগামী ২২ জানুয়ারি নির্ধারণ করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণের তিন তারিখ এমপি রানাকে হাজির না করাকে বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার কৌশল বলে মনে করছেন মামলার বাদী পক্ষ। তাদের মতে এর আগে অসুস্থতার নানা অজুহাতে আমানুরকে আটবার আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই মামলার অভিযোগ গঠন করতেই প্রায় দশ মাস সময় নষ্ট হয়েছে। মামলার তারিখ এলেই আমানুর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন সাক্ষ্যগ্রহনের সময়ও তারা একই কৌশল নিয়েছেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে।
২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামি রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
বিএস