সোমবার (২৭ নভেম্বর) আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন স্থায়ী করার আবেদন করেন সানজারি। এদিন তার জামিনের মেয়াদের শেষ দিন ছিলো।
শুনানি শেষে মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সানজারির জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। ওইদিন আপোস-মীমাংসার বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এ সময় মিলা আদালতে বলেন, এটা আমার জীবনের জন্য একটি বড় ধাক্কা। আমি সংসার করতে চেয়েছিলাম। আমরা আপোসের জন্য সানজারির বাসায়ও গিয়েছিলাম। কিন্তু সে আমাকে অপমান করে বের করে দিয়েছে। আদালতে এসেও আপোসের বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু সে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। আমার লাইফটা শেষ হয়ে গেলো। আমি ওর জামিন বৃদ্ধির আপত্তি জানাই।
এর আগে ৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) মিলা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় সানজারির বিরুদ্ধে মারধর ও যৌতুক দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই পারভেজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই সময় আপোসের শর্তে জামিন পান সানজারি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, বিয়ের পর কয়েকবার মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ গত ৩ অক্টোবর মিলাকে আবারও মারধর করে তার স্বামী। এরপর মিলার বাবা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, মিলার স্বামী আগেও পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক নিয়েছেন। তিনি এখন আরও দশ লাখ টাকা দাবি করছেন। টাকা না পেয়ে স্বামী তাকে মারধর করেছেন।
একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের পাইলট পারভেজ সানজারির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মিলার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ বছরের ১২ মে রাতে মিলার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এমআই/জেডএস