মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ‘র হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান,হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক,শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৩ নভেম্বর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার গাজীপুর স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. জালাল উদ্দিন খান এ রিট দায়ের করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন লিমন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘নির্ধারিত ফি ১৫৫০ টাকার বেশি নয়। কিন্তু ওই স্কুলে নোটিশ টানিয়ে বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের জন্য ফি ২৫৫০ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ফি ২৮৯০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
এর বিরুদ্ধে জালাল উদ্দিন খান রিট করেন। এই রিট শুনানির জন্য আদালতে গেলে আদালত বলেন, এসএসসিতে বাড়তি ফি আদায় নিয়ে ২০১৪ সালের একটি আদেশ রয়েছে। পরে আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এ রুল জারি করেন।
আদেশে আদালত বলেছেন- অতিরিক্ত ফি আদায়ের ঘটনায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার গাজীপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ, গর্ভনিংবডির সভাপতি-সেক্রেটারির বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ৪ জানুয়ারি মধ্যে হাইকোর্টকে জানাতে হবে। ’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘আট গুণ বাড়তি ফি আদায়’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বাড়তি ফি আদায় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
পরবর্তীতে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল বাড়তি ফি ফেরত দিয়েছিলেন। যারা দেননি তাদেরকে তলবও করেছিলেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়:১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮,২০১৭
ইএস/আরআই