ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা  আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) পর্যন্ত জামিনে ছিলেন তিনি। কিন্তু ওইদিন  তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া খালেদা জিয়ার স্বাক্ষরসহ হাজিরা কাগজ আদালতে জমা দেন।

বামদের অর্ধদিবস হরতাল থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় চান তার আইনজীবীরা।

দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলা দুইটিতে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে অসমাপ্ত বক্তব্যের তারিখ ধার্য আছে। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দিয়েছেন। আমরা তার জন্য অপেক্ষা করি।

‘এ সময় বিচারক বলেন, আসামি খালেদা জিয়া উপস্থিত নাই। তার হাজিরা দিলেন কিভাবে? এটা দেওয়া যায়? আর রাস্তায় হরতালের প্রভাব তো দেখলাম না। আমি যানজটে এক ঘণ্টা আটকে ছিলাম। আপনারা আসতে পেরেছেন, আমি আসতে পেরিছি, তাহলে খালেদা জিয়া আসতে পারবেন না কেন?’

আদালতে মোট দুইবার খালেদা জিয়ার হাজিরা ডাকা হয়। প্রথম সকাল ১১ টায় ও বেলা সোয়া বারটায়। দ্বিতীয়বার ডেকে না পাওয়ায় রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।  

একই সঙ্গে আগামী ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। আর চেরিটেবল মামলায় সাফাই সাক্ষীর জন্যও দিন ধার্য করা হয়েছে।  

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করায় খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে অসম্পূর্ণ বক্তব্য সমাপ্ত করার সুযোগ পাচ্ছেন না। নতুন করে সুযোগ পেতে তাকে এই আদালতে আবেদন করতে হবে। এর আগে টানা ৬ কার্যদিবস আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া।  

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

এদিকে অরফানেজ ট্রাস্টের মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে আছেন।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।

অন্যদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭/আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা
এমআই/এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।