নিজ পরিবারকে দেখানোর কথা বলে শিশুটিকে স্বামী নিয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন দেখা পায়নি স্ত্রী। এরপর বিভিন্ন স্থানে ধর্ণা দিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন শিশুটির মা ফরিদা ইয়াসমিন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ৭ জানুয়ারি শিশুটিকে আদালতে হাজির করতে আদেশ দেন। এই আদেশ পালন করতে হবে শিশুটির চাচা ও দাদিকে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।
আদেশের পর নীলের মা ফরিদা ইয়াসমিন মনি বলেন, আমার সন্তানের নাম মৌসুম গাইন নীল। তার বাবা নিউটন গাইন ওরফে লিটন হোসেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। বিয়ের পর সে ধর্মান্তরিত হয়। কিন্তু তার পরিবার আমাদের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। বাচ্চা হওয়ার পর প্রায়ই ওর বাবা নীলকে দাদির বাড়ি নিয়ে যেত। একপর্যায়ে নেওয়ার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও বাচ্চাকে আর ফেরত দেয়নি। এমনকি স্বামীও আমার সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি। এ ঘটনার সুরাহা করতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কাছে দারস্থ হয়ে কোনো প্রতিকার পাইনি। পরে আমি হাইকোর্ট রিট করেছি।
আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা বলেন, শিশু মৌসুম গাইন নীলকে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল তার দাদী ও চাচা এসে বাচ্চাটিকে নিয়ে যায়। এরপর আর তাকে ফেরত না দেওয়ায় আজ হাইকোর্টে হেবিয়াস করপাস রিট দায়ের করি। সেটির শুনানি নিয়ে আদালত আগামী ৭ জানুয়ারি বাচ্চাটিকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যেহেতু বাচ্চাটি এখনও মায়ের দুধ খায়। সে হিসেবে বাচ্চাটির মায়ের কাছেই থাকার কথা। আদালত এ বিষয়ে ৭ জানুয়ারি আদেশ দেবেন।
আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, খুলনার পুলিশ কমিশনার, সোনাডাঙ্গা থানার ওসি, দাকোপ থানার ওসি, শিশুর চাচা রিপন, রিপনের মা সুষমা গাইনকে বিবাদী করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
ইএস/আরআই