ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মাজদার হোসেন মামলা থেকে কামাল ও আমীরকে প্রত্যাহার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৮
মাজদার হোসেন মামলা থেকে কামাল ও আমীরকে প্রত্যাহার ড. কামাল ও ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম

ঢাকা: বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত মাজদার হোসেন মামলা পরিচালনার জন্য ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামকে যে ক্ষমতা (ওকালতনামা) দেওয়া হয়েছিলো তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

এক বৈঠকের পর বুধবার (০৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা।

এদিকে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. কামাল হোসেনসহ জ্যেষ্ঠ ছয় আইনজীবী সম্প্রতি এক বাণীতে বিধিমালা নিয়ে যে সব মন্তব্য করেছেন তা অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, ছয় আইনজীবী মাজদার হোসেন মামলাকে রাজনীতিকরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। যেহেতু আপিল বিভাগ বিধিমালা গ্রহণ করেছেন এবং অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের মধ্যে এই বিধিমালার বিষয়ে কোনোরূপ অসন্তোষ নাই। সেহেতু ছয় আইনজীবীর ওই বিষয়ে নেতিবাচক সমালোচনা না করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।  

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৩ জানুয়ারি মামলার শুনানিকালে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের স্বার্থবিরোধী বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে উপস্থাপন করায় এবং এ বক্তব্য আদালতে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় অ্যাসোসিয়েশন তার এরূপ নেতিবাচক বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করছে।

বিকাশ কুমার সাহা বলেন, আমাদের আইনজীবী অথচ তিনি আমাদের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না করেই আদালতে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। এ কারণে আজকে একটি সভায় ওই দুই আইনজীবীর ওকালতনামা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাজদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়। বুধবার সে গেজেট গ্রহণ করে আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।