ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘পৃথিবীর কোথাও বিচার বিভাগের জন্য সচিবালয় নেই’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৮
‘পৃথিবীর কোথাও বিচার বিভাগের জন্য সচিবালয় নেই’

ঢাকা: ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে যে ১১৬ অনুচ্ছেদ ছিলো সেখানে ফিরে যাওয়া প্রসঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে অবস্থা বিদ্যমান আছে সেটাই বিচার বিভাগের জন্য শ্রেয়।

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় করার বিষয়ে তিনি বলেন, “পৃথিবীর কোথাও, কোনো গণতান্ত্রিক, অগণতান্ত্রিক দেশে বা ১৯৩টি দেশের মধ্যে কোথাও বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় নেই। তাই এ মুহূর্তে এটা ভাবা অবাস্তব।

তবে হ্যাঁ, ভবিষ্যতে হবে কী হবে না সেটা বলা যাবে না। ”

রোববার (০৭ জানুয়ারি) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য ২১তম জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয়ের কথা যেটা বলা হচ্ছে, সেখানে আমি দুটো কথা বলতে চাই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবাবে হত্যার পরে এবং ৩ নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরে বাংলাদেশে একটা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিলো। সেটা কিন্তু ২১ বছর বিদ্যমান ছিলো। বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যার ব্যাপারে ২১ বছরে কোনো মামলা হয়নি। তখন কিন্তু কেউ সুয়োমুটো রুল বা পাবলিক ইন্টারেস্ট অব লিটিগেশন করে নাই। ”

ষোড়শ সংশোধনী রিভিউয়ের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “রিভিউ করার অধিকার সংবিধান প্রত্যেকেই দিয়েছে। সেখানে সরকারকে বাদ দেয়নি। সেই অধিকার নিয়ে রিভিউ করা হয়েছে। এখন আপিল বিভাগ যখন মনে করবেন এটার শুনানি করবেন। তারা তারিখ দিলেই শুনানি হবে। সরকারও চায় এ বিতর্কের অবসান হোক, এ মামলা নিরসন হোক। ”

শৃঙ্খলা বিধির বিষয়ে তিনি বলেন, “শৃঙ্খলা বিধির ব্যাপারে সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই তা করা হয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার করেই এ শৃঙ্খলা বিধি করা হয়েছে। বিধিটি যখন আপিল বিভাগ গ্রহণ করেছেন, তখন তারা কিন্তু এ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি তার আদালতের যে মতামত তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছেন। ”

আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের আদালতগুলোতে প্রায় ৩০ লাখ মামলা বিচারাধীন আছে। এ মামলার জট কমিয়ে আনা বিচার বিভাগ ও সরকারের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। তাই এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, মামলা জট কমিয়ে আনার চ্যালেন্স মোকাবেলায় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে বিচারকদেরও  আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
ওএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।