ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

খালেদার আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি ১২টায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
খালেদার আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি ১২টায় খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি হবে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায়।  

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার সকালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ আদালতে বলেন, একটু আগে আমরা আপিলের অনুলিপি পেয়েছি।

এখন এটার জন্য প্রস্তুতি দরকার। শুনানি দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করার আবেদন জানাচ্ছি।

এরপর আদালত দুপুর ১২টায় শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শুনানির জন্য এ দিন ঠিক করা হয়।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল (আপিল নম্বর ১৬৭৬/২০১৮) দায়ের করেন। আপিলের ফাইলিং আইনজীবী হয়েছেন আবদুর রেজাক খান। ৪৪টি যুক্তি তুলে ধরে এ আপিল করা হয়।  

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বকশীবাজার কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত আদালতের বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ডের রায় দেন। একইসঙ্গে দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর ৫ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। ৪০৯ ও ১০৯ ধারা মোতাবেক আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার ১১দিন পর সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান।  

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি এতিম তহবিলের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা আত্মসাৎ করেন।

পরিমাণের দিক থেকে তা বর্তমান বাজারমূল্যে অধিক না হলেও তর্কিত ঘটনার সময়ে ওই টাকার পরিমাণ অনেক বেশি ছিলো। আসামিদের মধ্যে খালেদা জিয়া ওই সময়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আসামি কাজী সলিমুল হক কামাল সংসদ সদস্য ছিলেন। আসামি কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী সরকারি কর্মচারী হয়েও আসামি খালেদা জিয়াকে সরকারি এতিম তহবিলের ব্যাংক হিসাব খুলতে সহায়তা করেন।

পরে ওই হিসাব থেকে দু’টি প্রাইভেট ট্রাস্টের অনুকূলে সরকারি অর্থের চেক বেআইনিভাবে প্রদান করায় খালেদা জিয়া ও কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী অপরাধ করতে সহায়তার শামিল।

আসামি তারেক রহমান, মমিনুর রহমান ও শরফুদ্দিন আহমেদ কৌশল অবলম্বন করে সরকারি তহবিলের টাকা একে অপরের সহযোগিতায় আত্মসাত করতে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। এর মাধ্যমে এ মামলার ছয় আসামির প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে লাভবান হয়েছেন। আসামিরা রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধী হিসেবেও গণ্য হবেন। অর্থনৈতিক দুর্নীতি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বাভাবিক গতিকে ব্যাহত করে এবং তার নেতিবাচক প্রভাব সমাজের প্রতিটি স্তরে সংক্রমিত হয়।

সাজা ঘোষণার পর থেকে খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
ইএস/আরআর/এসআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।