ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

খালেদার মামলার নথি হাইকোর্টে 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১১ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
খালেদার মামলার নথি হাইকোর্টে  উচ্চ আদালতে আনা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার নথিপত্র। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছেছে। রোববার (১১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ৫ হাজার ৩৭৩ পৃষ্ঠার নথি উচ্চ আদালতে এসে পৌঁছায়। 

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার আইনজীবীদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

সেদিন খালেদার জরিমানা স্থগিত করে বিচারিক আদালতের নথি ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ২৫ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের যে নথি ১৫দিনের মধ্যে চাওয়া হয়েছে; সে নথি আসার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আদেশের সময় নির্ধারণ করেছিলেন।

আরও পড়ুন
** 
খালেদার মামলার নথি যাচ্ছে হাইকোর্টে 

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে নথি নিয়ে আদালতের আদেশের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে খালেদার আইনজীবীরা একটি মেনশন স্লিপসহ আবেদন উপস্থাপন করেন। এরপর আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন।  

কিন্তু নথি এসে না পৌঁছানোর কারণে একই দিন সকালে খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার (১২ মার্চ ) দিন ধার্য করা হয়।  


এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড দেন।  

একই সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার ১১দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান। ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দায়ের করেন।

সাজা ঘোষণার পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।