ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

গাজীপুর সিটিতে সাভারের ৬ মৌজার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে রিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
গাজীপুর সিটিতে সাভারের ৬ মৌজার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে রিট

ঢাকা: গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা নিয়ে করা রিটের ওপর পরবর্তী শুনানি হবে দুপুরের পর।

মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) দুপুরের পর বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি হবে।   

আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজ।



রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সঙ্গে ছিলেন একেএম এনায়েত উল্লা চৌধুরী ও শহীদুল ইসলাম।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে ১৫ মে। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। গত ৪ মার্চ সিটি করপোরেশনটির সীমানা নিয়ে গেজেট জারি হয়। যেখানে শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বাড়ী, ডোমনা, শিবরামপুর, পশ্চিম পানিশাইল, দক্ষিণ পানিশাইল ও ডোমনাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

একেএম এনায়েত উল্লা চৌধুরী বলেন, ২০১৩ সালে এ ছয়টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো। তখন বিষয়টি নিয়ে এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজ আবেদন করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রাহ্য না করায় হাইকোর্টে রিট করার পর আদালত আবেদনটি পুনর্বিবেচনা করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ২০১৬ সালে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে এ ছয়টি মৌজা শিমুলিয়ার মধ্যেই ছিল। নির্বাচনে আজহারুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এখন আবার এ ছয় মৌজাকে সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। যেহেতু তিনি ছয়টি মৌজার ভোটেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই এ ছয়টি মৌজাকে সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রোববার রিট দায়েরের পর সোমবার শুনানি হয়েছিলো। সকালে রাষ্ট্রপক্ষের এ বিষয়ে কিছু কাগজপত্র উপস্থাপন করার কথা ছিল। কিন্তু তারা সময় চাওয়ার পর আদালত ২টার পরে ফের শুনানির জন্য রাখেন।

রিট আবেদনে সাভারের ছয়টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৪ মার্চ সিটি করপোরেশনটির সীমানা নিয়ে গেজেট ছয় মৌজার ক্ষেত্রে স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়।

আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে এলজিআরডি সচিব, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, এলজিআরডির উপ-সচিব (সিটি করপোরেশন-২ সেকশন), ঢাকার ডিসি, গাজীপুরের ডিসি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।