ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শ্রম অধিকার রক্ষায় জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৭ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৮
শ্রম অধিকার রক্ষায় জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা

ঢাকা: নির্যাতিত নিপীড়িত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে বিনা পয়সায় ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এক কোটি ২৫ লাখ ৮১ হাজার ১৮৯ টাকা আদায় করে দিয়েছে সরকারের আইন মন্ত্রণালয়।

নিষ্পত্তি করেছে ৪৩৫টি মামলা। আর এতে সেবা পেয়েছেন ১০ হাজার ৪২৭ জন শ্রমিক।

এত সব কিছু করেছে আইন মন্ত্রণালয়ের জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। তবে এটি কেবল ঢাকা ও চট্টগ্রামের শ্রমিক সেল  থেকে করা হয়েছে।
 
সংস্থাটি বলছে, পর্যায়ক্রমে দেশে বিদ্যমান সব শ্রম আদালতে শ্রমিক আইন সহায়তা সেল স্থাপিত হবে। ওই সংস্থার এক বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ২০১৩ ঢাকার শ্রম আদালতে এবং ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম শ্রম আদালতে শ্রমিক আইন সহায়তা সেল স্থাপন করে। এ দু’টি সেলে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত  ১০ হাজার ৪২৭ জনকে আইনগতা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

নোটিশের মাধ্যমে ৪৩৫টি বিরোধ বিকল্প পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি ও ক্ষতিপূরণ বাবদ এক কোটি ২৫ লাখ ৮১ হাজার ১৮৯ টাকা আদায় করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশে বিদ্যমান সব শ্রম আদালতে শ্রমিক আইন সহায়তা সেল স্থাপিত হবে।

সরকারি আইনগত সহায়তা কী?
আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ অনুযায়ী আইনগত সহায়তা হলো আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ বিচার প্রার্থীকে- কোনো আদালতে দায়ের যোগ্য, দায়ের হয়েছে বা বিচার চলছে এমন মামলায় আইনি পরামর্শ ও সহায়তাপ্রদান; আইনজীবীর ফিস এবং মধ্যস্থতাকারী বা নিযুক্ত সালিশকারীকে সম্মানী প্রদান; মামলার প্রাসঙ্গিক খরচ প্রদানসহ অন্য যে কোনো সহায়তা প্রদান।

আইনগত সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা কী?
অসচ্ছল বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তি যার বার্ষিক গড় আয় সুপ্রীম কোর্টে আইনগত সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা এবং অন্যান্য আদালতের ক্ষেত্রে এক লাখ টাকার ঊর্ধ্বে নয়; কর্মক্ষম নন, আংশিক কর্মক্ষম, কর্মহীন বা বার্ষিক দেড় লাখ টাকার ঊর্ধ্বে আয় করিতে অক্ষম এমন মুক্তিযোদ্ধা; যে কোনো শ্রমিক যাহার বার্ষিক গড় আয় এক লাখ টাকার ঊর্ধ্বে নয়; যে কোনো শিশু; মানবপাচারের শিকার যে কোনো ব্যক্তি; শারীরিক নির্য়াতন, মানসিক নির্যাতন এবং যৌন নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু; নিরাশ্রয় ব্যক্তি বা ভবঘুরে; যে কোনো উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের লোক; পারিবারিক সহিংসতার শিকার অথবা সহিংসতার ঝুঁকিতে আছেন এ রূপ যে কোনো সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি; বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন এরূপ কোনো ব্যক্তি; ভিজিডি কার্ডধারী দুঃস্থ মাতা; দুর্বৃত্ত দ্বারা এসিড দগ্ধ নারী বা শিশু; আদর্শ গ্রামে গৃহ বা ভূমি বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তি; অসচ্ছল বিধবা, স্বামীপরিত্যক্তা এবং দুঃস্থ মহিলা; যে কোনো প্রতিবন্ধী; আর্থিক অসচ্ছলতার দরুন আদালতে অধিকার প্রতিষ্ঠা বা আত্মপক্ষ সমর্থন করিতে অসমর্থ ব্যক্তি; বিনা বিচারে আটক এমন ব্যক্তি যিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে আর্থিকভাবে অসচ্ছল; আদালত কর্তৃক আর্থিকভাবে অসহায় বা অসচ্ছল বলিয়া বিবেচিত ব্যক্তি; জেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আর্থিকভাবে অসহায় বা অসচ্ছল বলিয়া বিবেচিত ব্যক্তি আইনি সহায়তা পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৮
ইএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।