ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জামিন পাননি শরফুদ্দিন, চিকিৎসার আদেশ কামালের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৭ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৮
জামিন পাননি শরফুদ্দিন, চিকিৎসার আদেশ কামালের

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের জামিন আবেদন ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছেন হাইকোর্ট।

জামিন আবেদনের ওপর শুনানির পর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (৩০ মে) এ আদেশ দেন।

এছাড়া অপর দণ্ডপ্রাপ্ত মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামালের চিকিৎসায় (অপারেশন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বোর্ড যদি মনে করে তাহলে তিনি নিজ খরচে প্রাইভেট মেডিকেলে অপারেশন করাতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসান উল্লাহ। কাজী কামালের পক্ষে ছিলেন শাহ মঞ্জুরুল হক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, শরফুদ্দিনের জামিন আবেদন ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া কাজী সালিমুল হক কামালের চিকিৎসায় (অপারেশন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল যদি মনে করে তাহলে তিনি নিজ খরচে প্রাইভেট মেডিকেলে অপারেশন করাতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে ২৩ মে কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামালের জামিন আবেদন ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছিলেন হাইকোর্ট।

এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের মধ্যে কারাবন্দি তিনজনেরই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।

আদালত এই তিন আসামির আপিল শুনানি এবং খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে জারি করা রুলের শুনানি একইসঙ্গে নেবেন।

খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দু’জন হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পলাতক তিনজন হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড দেন।

একইসঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড.কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন।

এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

এদিকে খালেদা জিয়া আপিলের পর জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাকে জামিন দিলেও দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল করে। কিন্তু আপিল বিভাগ তার জামিন বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৮
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।