ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাতক্ষীরায় কলেজছাত্র হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
সাতক্ষীরায় কলেজছাত্র হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় কলেজছাত্র গৌতম হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃতুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলার আরো ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এ রায় ঘোষণা করেন।  

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে আলী আহম্মেদ শাওন, ভাড়খালি গ্রামের আব্দুল করিম মোড়লের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন, মহাদেবনগর গ্রামের রেজাউল শেখের ছেলে সাজু শেখ ও নাজমুল হোসেন।

 

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ওমর ফারুক, নূর আহম্মেদ মুক্ত, মহসিন আলী, কবিরুল ইসলাম মিঠু, জামসেদ আলী ও ফিরোজা খাতুন।  

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের মহাদেবনগর গ্রামের ইউপি সদস্য গনেশ সরকারের ছেলে সীমান্ত ডিগ্রী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র গৌতম সরকারকে অপহরণ করে আসামিরা। পরে তার বাড়িতে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। গৌতমের পরিবার ৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হলেও দাবিকৃত ‍পুরো টাকা না পেয়ে তার বাড়ির পাশে মোকলেছুর রহমানের নির্মাণাধীন বাড়িতে গৌতমকে হত্যা করা হয়। পরে লাশের বিভিন্ন স্থানে ১২টি ইট বেঁধে পার্শ্ববর্তী মোকলেছুর রহমানের পুকুরে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।  

এ ঘটনায় নিহতের বাবা গনেশ সরকার বাদী হয়ে আলী আহম্মেদ শাওন, শাহাদাৎ হোসেন, সাজু শেখ, নাজমুল হোসেন, মুহসিন আলী ও কবিরুল ইসলাম মিঠুর নামে ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরদিন ওমর ফারুক, নূর আহম্মেদ মুক্ত ও জামসেদের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি সম্পূরক অভিযোগ দায়ের করা হয়। নাজমুল, শাহাদাৎ ও সাজু শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।  

এ ঘটনায় পুলিশ সাজু শেখের মা ফিরোজা খাতুনকে গ্রেফতার করে। ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর সম্পূরক অভিযোগটি আদালতে পাঠানো হয়। ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি মামলাটির তদন্তভার ডিবি পুলিশের উপ পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামকে দেওয়া হয়। পরে একই বছরের ১৮ এপ্রিল উপরিউক্ত ১০ আসামির নামে আদালতে অভিযোগত্র দাখিল করেন তিনি। ২০১৮ সালের পহেলা মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে উল্লিখিত চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া বাকি ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।  

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাস বাংলানিউজকে জানান, রায় ঘোষণার সময় শাহাদাৎ হোসেন ও নাজমুল হোসেন আদালতে হাজির ছিলেন। তবে আলী আহম্মেদ শাওন ও সাজু শেখ পলাতক রয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।