ঢাকা, রবিবার, ২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ জুন ২০২৪, ০৮ জিলহজ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

‘কাল্পনিক’ মামলা নিয়ে রিটের শুনানি শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৮
‘কাল্পনিক’ মামলা নিয়ে রিটের শুনানি শুরু

ঢাকা: সারাদেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা ‘কাল্পনিক’ মামলা নিয়ে তিন আইনজীবীর করা রিটের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।

সোমবার (০৮ অক্টোবর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।

মঙ্গলবার (০৯ অক্টোবর) রিটের উপর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

পরে ড. কামাল হোসেন বলেন, যারা পুলিশকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে আক্রমণে নেমেছে, আলামত নিয়েছে চারটা জর্দার ক্যান, চারটা ইটের টুকরা, তিনটা বাঁশের লাঠি, আমি বললাম সব জায়গাতে হুবহু একই জিনিস, এগুলো কতখানি বিশ্বাসযোগ্য। এখানে রুল হওয়া উচিত। যখন আদেশ হয়ে যাচ্ছে তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বললেন ওনাকে সুযোগ দেওয়া হোক আগামীকাল। আদালত সুযোগ দিয়েছেন।  
 
২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী ও সানাউল্লা মিয়া এ রিট দায়ের করেন।

এ তিনজনের মধ্যে খন্দকার মাহবুব হোসেন বিএনপির ভাইস চেয়ার‌ম্যান, নিতাই রায় চৌধুরী বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং সানাউল্লা মিয়া বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক।

রিটে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (নর্থ জোন), রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, রমনা ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।

রিট দায়েরের পর খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে ঢালাওভাবে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা করার উদ্দেশ্যে হচ্ছে বিরোধী দলকে চাপে রেখে বিরোধী নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করা।

তিনি বলেন, এ ধরনের মামলা সঠিক হয়েছে কি-না তা তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা করে যেন হয়রানি না করা হয় তার নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। যারা এ ধরনের মামলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।

রিট আবেদনে, সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে আবেদনকারী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অগণিত মানুষের বিরুদ্ধে ‘কাল্পনিক’ মামলা করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই ধরনের ‘কাল্পনিক’ মামলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে এ ধরনের মামলা দায়ের থেকে বিরত থাকতে এবং এ ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি (যার মধ্যে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রতিনিধি রাখা) গঠনের নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়াও রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে করা এসব মামলার তদন্ত থেকে বিরত থাকে নির্দেশনা জারির আর্জি জানানো হয়েছে আবেদনে।    

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।