ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

‘কাল্পনিক’ মামলার রিট শুনানি পেছালো

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৮
‘কাল্পনিক’ মামলার রিট শুনানি পেছালো হাইকোর্ট/ফাইল ফটো

ঢাকা: সারাদেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা ‘কাল্পনিক’ মামলা নিয়ে রিট শুনানি ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৫ নভেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের একক বেঞ্চ রিট আবেদনের পক্ষে সময় আবেদনের পর এ আদেশ দেন।
 
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, রিটকারীদের পক্ষে ড. কামাল হোসেনের গ্রাউন্ডে অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা শুনানির জন্য দুই সপ্তাহের সময় প্রার্থনা করলে আদালত সময় মঞ্জুর করে ২০ নভেম্বর ২টায় শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।  

গত ৯ অক্টোবর এ রিটের ওপর বিভক্ত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ওই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করলেও অপর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল রিট খারিজ করে আদেশ দেন।

এরপর নিয়ম অনুসারে রিটটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। তিনি রিটটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের একক বেঞ্চ গঠনে আদেশ দেন।
 
৯ অক্টোবর রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল হক টুটুল।

২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী ও সানা উল্লা মিয়া এ রিট দায়ের করেন।

এ তিনজনের মধ্যে খন্দকার মাহবুব হোসেন বিএনপির ভাইস চেয়ার‌ম্যান, নিতাই রায় চৌধুরী বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং সানা উল্লা মিয়া বিএনপির আইন সম্পাদক।

রিটে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (নর্থ জোন), রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, রমনা ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।

রিট দায়েরের পর খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশে ঢালাওভাবে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধীদলকে চাপে রেখে বিরোধী নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করা।

তিনি বলেন, এ ধরনের মামলা সঠিক হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা করে যেন হয়রানি না করা হয় তার নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। যারা এ ধরনের মামলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।

রিট আবেদনে সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে আবেদনকারী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অগণিত মানুষের বিরুদ্ধে ‘কাল্পনিক’ মামলা করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ ধরনের ‘কাল্পনিক’ মামলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।