ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘প্রয়োজনে খালেদার যথাযথ চিকিৎসা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
‘প্রয়োজনে খালেদার যথাযথ চিকিৎসা’ খালেদার জিয়ার ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রয়োজন হলে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা নিয়ে করা রিট নিষ্পত্তি করে সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

আদেশের পরে মুরাদ রেজা বলেন, ‘আউটডোর প্যাশেন্ট হিসেবে ইনজেকশন বা ফিজিও থেরাপি তিনি জেলে বসেই নিতে পারেন। তাছাড়া তিনি যখনই অসুস্থ হন, তার যদি ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন হয়, তবে জেল অথরিটি মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ নিয়ে সাথে সাথে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই মেডিকেল বোর্ড অথরিটি যদি মনে করে তাকে (খালেদা জিয়া) চেকআপ করানো দরকার, সেটা জেলে গিয়েও করতে পারবেন। তিনি এখনও বোর্ডের আন্ডারে। ’

এর আগে রোববার এ রিটের শুনানি শেষে ১৯ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিলো।

১১ নভেম্বর (রোববার) খালেদার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।

রিটের পর খালেদার আইনজীবীরা জানান, চিকিৎসাসেবা শেষ না করে বিএনপির চেয়ারপারসনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। রিটে খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা চলমান রাখার আবেদন জানানো হয়। এছাড়া তাকে কেন পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা কর্তৃপক্ষ, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে চিকিৎসাসেবা দিতে করা এক রিট গত ৪ অক্টোবর নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই আদেশের পর চিকিৎসার জন্য পুরনো কারাগার থেকে ৬ অক্টোবর খালেদাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৮ নভেম্বর খালেদাকে বিএসএমএমইউ থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।