মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিলে নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন।
বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এ আদেশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, প্রিজাইডিং জাজ খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এমন আদেশ দিয়েছেন। কিন্ত দ্বিতীয় জাজ ডিসেন্টিং অর্ডার দিয়েছেন। অর্থাৎ দাঁড়ালো বিভক্তি আদেশ এসেছে। প্রিজাইডিং জাজ দিয়েছেন খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার পক্ষে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ না এই মর্মে রুল জারি করেছেন। ডাইরেকশন দিয়েছেন নির্বাচনের যাবতীয় ফর্মালিটিজি নেওয়ার জন্য।
বিভক্তি আদেশ এলে নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে দেবেন।
এর আগে শুনানি শেষে সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন- ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের’ আইন বিশেষজ্ঞ ইরিনি মারিয়া গোনারি।
গত রোববার (০৯ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে পৃথক তিনটি রিট করা হয়।
তার আগে গত ০৮ ডিসেম্বর প্রার্থিতা ফিরে পেতে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার করা আপিল নামঞ্জুর করে দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যা পরবর্তীতে হাইকোর্টে গড়ায়।
সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে গত ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
পরে তাদের এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন খালেদার আইনজীবীরা।
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
ইএস/জেডএস