ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা লোপাটের ঘটনায় কমিটি গঠনের নির্দেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৯
মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা লোপাটের ঘটনায় কমিটি গঠনের নির্দেশ

ঢাকা: বরিশালে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ-এই তিন মাসের কোনো এক মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতার চার কোটি টাকা না দেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (৬ জানুয়ারি) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ওই কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।

গত ২ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সাড়ে ৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা লোপাট’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ৩ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত রিটটি দায়ের করেন।  

আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পরে অমিত দাশ গুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জানুয়ারি থেকে মার্চ-এই তিন মাসের কোনো এক মাসে জনপ্রতি মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা হিসেবে বরিশাল জেলার প্রতি মুক্তিযোদ্ধাকে মোট চার কোটি টাকা কেন দেওয়া হয়নি তা খতিয়ে দেখতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ওই অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  

অনুসন্ধানের পর প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া রুলও জারি করেছেন আদালত।

রুলে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ের কোনো এক মাসে জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা করে মাসিক সম্মানী ভাতা হিসেবে বরিশাল জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের মোট চার কোটি টাকা প্রদানে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

চার সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বরিশালের জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বরিশালে ৬ হাজার ৪৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতার প্রায় চার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাবদ এই টাকা মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় করেছে তারা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, তাদের হাতে এই টাকা আসেনি। আরও বলা হয়, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গরমিলটা শুরু হয়েছে বরিশালের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে। কিন্তু জেলা প্রশাসন বলছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বাবদ প্রায় চার কোটি টাকা কম দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বরিশালে চারজন জেলা প্রশাসক বদলি হয়েছেন। কিন্তু আজও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। ভাতাও বুঝে পাননি মুক্তিযোদ্ধারা। ’

সেসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ওই জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘আমার কাছে এমন অভিযোগ এসেছে। অভিযোগটি গুরুতর। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ টাকা কেন তাদের পরিশোধ করা হয়নি, তা আমি জেলা প্রশাসকের কাছে জানতে চেয়েছি। মন্ত্রণালয় এ টাকা বরাদ্দ দিলে অবশ্যই তাদের পাওয়ার কথা। কোথায় গলদ হয়েছে, আমরা খতিয়ে দেখছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
ইএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।