রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর খালেদা জিয়ার সময়ের আবদেন মঞ্জুর করে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধায্য করেন।
গত ৩১ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান খালেদা জিয়া।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী বানিয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে বলে আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১৯ ও ২২ আগস্ট দুইটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সাল। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিক তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল। তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। সবশেষ ২০০১ সালে পাসর্পোট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল।
মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার ৫টি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি।
এ অবস্থায় পাঁচটি জন্মদিন থাকলেও একটি জন্মদিন পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করছেন খালেদা জিয়া। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য এই জন্মদিন পালন করেন বলেও মামলায় উল্লেখ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমএআর/জেডএস