ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ৭৪ প্রার্থীর আবেদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ৭৪ প্রার্থীর আবেদন

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অভিযোগ এনে হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত আবেদন করেছেন অন্তত ৭৪ পরাজিত প্রার্থী।

এর মধ্যে রয়েছেন বিএনপি, গণফোরাম, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) সমর্থিত প্রার্থী। তাদের মধ্যে চারজন গণফোরাম এবং একজন পিডিপির প্রার্থী আছেন।

আবেদনকারীরা হলেন, সুব্রত চৌধুরী (ঢাকা-৬), আব্দুল মোমেন চৌধুরী, (চট্টগ্রাম-১৫), মফিজুল ইসলাম খান কামাল (মানিকগঞ্জ-৩) ও মোস্তফা মহসীন মন্টু,(ঢাকা-৭), সাব্বির আহমেদ (রংপুর-৩), মেজর  জেনারেল (অব.) আ আ ম স আমিন (কুড়িগ্রাম-২), সাইফুল ইসলাম ফিরোজ (ঝিনাইদহ-৪), আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৭), জয়নুল আবেদীন (বরিশাল-৩), জহির উদ্দিন স্বপন (বরিশাল-১), শাহ রিয়াজুল হান্নান (গাজীপুর-৪), নাসের রহমান (মৌলভীবাজার-৩), আব্দুল হাই (মুন্সীগঞ্জ-৩), হাফিজ ইব্রাহিম (ভোলা-২), রুহুল আমিন দুলাল (পিরোজপুর-৩), ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন (ঢাকা-১৯), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (ভোলা-৩), তাজভীর উল আলম (কুড়িগ্রাম-৩), মো. সাইফুল ইসলাম (রংপুর-৬), মো. সাদেক রিয়াজ (দিনাজপুর-২), নজরুল ইসলাম আজাদ (নারায়ণগঞ্জ-২), মইনুল ইসলাম খান শান্ত (মানিকগঞ্জ-২), ইরফান ইবনে আমান অমি (ঢাকা-২), নবিউল্লাহ নবী (ঢাকা-৫), আমরাফ উদ্দিন (নরসিংদী-৫), মো. আমিরুল ইসলাম খান (সিরাগঞ্জ-৫), শহিদুল ইসলাম (টাঙ্গাইল-১), ফরহাদ হোসেন আজাদ (পঞ্চগড়-২), মো. হাসান রাজিব প্রধান (লালমনিরহাট-১), আখতারুজ্জামান মিয়া (দিনাজপুর-৪), মো. শাহজাহান মিয়া (চাঁপাইনবাবগঞ্চ-১), মিজানুর রহমান (সুনামগঞ্জ-৫), মো. জি কে গউছ (হবিগঞ্জ-৩), মজিবুর রহমান চৌধুরী (মৌলভীবাজার-৪), ফারুখ আলম সরকার (গাইবান্ধা-৫), শফি আহমেদ চৌধুরী (সিলেট-৩), মো. আনোয়ারুল হক (নেত্রকোণা-২), শাহ মো. ওয়ারেস আলী (জামালপুর-৫), নিতাই রায় চৌধুরী (মাগুরা-২), অনিন্দ্য ইসলাম অমিত (যশোর-৩), মো. আবু সুফিয়ান (চট্টগ্রাম-৮), মাসুদ অরুণ (মেহেরপুর-১), আমিন উর রশিদ (কুমিল্লা-৬), এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন (নোয়াখালী-১), শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া (খাগড়াছড়ি),  মুন্সী রফিকুল আলম (ফেনী-১), জয়নুল আবদীন ফারুক (নোয়াখালী-২), সাচিং প্রু (বান্দরবান) শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক (চাঁদপুর-৩), আবুল খায়ের ভূঁইয়া (লক্ষ্মীপুর-২), জাকির হোসেন সরকার (কুষ্টিয়া-৩), রকিবুল ইসলাম (খুলনা-৩), শামা ওবায়েদ ইসলাম (ফরিদপুর-২), আনিসুর রহমান (মাদারীপুর-৩), আজিজুল বারী হেলাল (খুলনা-৪), শাহ মো. আবু জাফর (ফরিদপুর-১), মো. শরিফুজ্জামান (চুয়াডাঙ্গা-১), হাবিবুল ইসলাম হাবিব (সাতক্ষীরা-১), আলী নেওয়াজ মো. খৈয়ম (রাজবাড়ী-১), রুমানা মাহমুদ (সিরাজগঞ্জ-২), আকবর হোসেন (ফেনী-৩), বরকত উল্লাহ বুলু (নোয়াখালী-৩) এবং আমসা আমিন (কুড়িগ্রাম-২)।
  
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের ৪৯ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গেজেট জারির ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনী অনিয়মের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
 
নির্বাচন কমিশন গত ২ জনুয়ারি সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশ করে। সেই হিসেবে শুক্রবার ৪৫ দিন শেষ হবে।  

নির্বাচন সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি হবে ছয়টি একক বেঞ্চে। ছয় বেঞ্চের বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার, বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান, বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক, বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান, বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
 
এদিকে  বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান  সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি জয়নুল আবেদীন জানিয়েছেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলো দেখার জন্য আইনজীবীদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।
 
বরিশাল বিভাগের জন্য জয়নুল আবেদীন নিজেই, ঢাকা বিভাগের জন্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, রাজশাহী বিভাগের জন্য ব্যারিস্টার আমিনুল হক, চট্টগ্রামে মীর মো. নাছির উদ্দিন, রংপুর বিভাগের জন্য ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে ফজলুর রহমান, খুলনা ও ফরিদপুরের জন্য নিতাই রায় চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।