রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ওই আসামিকে ৬৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭০০ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।
এদিন, আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। এরপর সাজা পরোয়ানা দিয়ে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলার অন্য দুই আসামি মকবুল হোসেন ও মহিউদ্দিন মৃধার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলা চলাকালীন আজিজুল হক নামে আরেক আসামি মারা যাওয়া তাকেও এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন সময়ে এ ব্যাংককের বিভিন্ন শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলে ৫২ লাখ ৫৯ হাজার ৭০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ১৯৯৭ সালের ২৫ মে মতিঝিল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান মামলার তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ৫ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলেন, ১৯৯৬ সালের ৮ নভেম্বর থেকে ১৯৯৭ সালের ৫ মার্চ মধ্যে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন শাখার ভুয়া নাম পরিচয় দিয়ে মিথ্যা লোককে শনাক্ত করে অ্যাকাউন্ট খুলে দেন। পরবর্তিতে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে ৫২, ৫৯, ৭০০ টাকা আত্মসাৎ করেন।
ওই ঘটনায় ১৯৯৭ সালের ২৫ মে মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার, রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থিত ছিলেন আবুল হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এমএআর/এসএইচ