মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (পশ্চিম) ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
গত ২১ জানুয়ারি একই আদালত মঙ্গলবার মামলার তদন্ত রির্পোট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তদন্তকারী কমকর্তাকে।
২০১৭ সালের ২১ জুন রাজধানীর রূপনগর থানার মিরপুর বেড়িবাঁধের রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পরিচয় সনাক্তে জানা যায় এটি এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের মরদেহ।
ওই দিন রাতেই নিহতের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার রূপনগর থানায় এসে ভাই মিজানুর রহমানের মরদেহ সনাক্ত করেন এবং অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পরে এ ঘটনায় ছিনতাইকারী মিন্টু, কামাল ওরফে ফারুক, জাকির ও শাহ আলম গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতাররা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে এএসপি মিজান হত্যার বর্ণনাও দিয়েছেন তারা।
জবানবন্দিতে তারা বলেন, গত ২১ জুন ফজরের নামাজের আজানের পর উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরে একটি মসজিদের পাশে প্রাইভেটকারে যাত্রীবেশে বসেছিলে তারা। এ সময় এএসপি মিজানুর রহমান ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন ছিনতাইকারীরা তাকে গাড়িতে তুলে নেয়।
পরে ছিনতাইকারী ফারুক বুঝতে পারে মিজানুর সরকারি সংস্থার লোক। এ অবস্থায় তারা গাড়িতে প্রচণ্ড শব্দে গান ছেড়ে ও আলো বন্ধ করে গাড়ি চালিয়ে যায়। জসীমউদ্দিন রোড হয়ে প্রথমে হাউজ বিল্ডিং ও পরে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের দিকে যায়। গাড়ির পেছনের সিটে বসা মিন্টু একপর্যায়ে এএসপি মিজানের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পেছনের সিটে বসা আরও দু’জন ফারুক ও মিন্টু এএসপি মিজানের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিল। একজন গাড়িতে থাকা ঝুট কাপড়ের ফিতা দিয়ে মিজানুরের গলা পেঁচিয়ে ধরে থাকে। কিছুক্ষণ পর মিজানুর নিস্তেজ হয়ে পড়েন এবং তার সাড়া-শব্দ না পেয়ে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশের ভয়ে তারা ১০ নম্বর সেক্টর থেকে গলি পথ ধরে বেড়িবাঁধ এলাকায় মিজানের মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়।
বালাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
এমএআর/জেডএস