ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বহুতল ভবনের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৯
বহুতল ভবনের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট

ঢাকা: অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন-২০০৩ এবং  ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড-২০১২ অনুসারে ঢাকার সব বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপনে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে একটি যৌথ  প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট।

চার মাসের মধ্যে কমিটি করে এ প্রতিবেদন দেবেন রাজউক, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (০১ এপ্রিল) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চে রুলসহ এ আদেশ দেন।

এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের যন্ত্রপাতি, গাড়িসহ কী পরিমাণ জনবল আছে তা এক মাসের মধ্যে আদালতকে জানাতে তাদের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

৩১ মার্চ রিট আবেদনটি দায়ের করেন গুলশান সোসাইটির মহাসচিব সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ।

আদালতে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।

পরে ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ দুটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ উল্লেখ করে বলেন, আদালত এ দুটি আদেশ ছাড়াও রুল জারি করেছেন।

রুলে স্বাধীন তদন্তের পর চকবাজার ও বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না,  জনমনে সচেতনা বাড়াতে দুর্যোগের বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, গুলশান এলাকায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনে জমি বরাদ্দে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।

 
দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, শিক্ষা এবং খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ও রাজউক চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আগুনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট আবেদন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।