ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিকেলে ফুলকোর্ট সভায় বসছেন প্রধান বিচারপতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৯
বিকেলে ফুলকোর্ট সভায় বসছেন প্রধান বিচারপতি

ঢাকা: ‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট বাংলাদেশ’ এর তথ্য উপস্থাপনের পাঁচ দিনের মাথায় সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতিদের নিয়ে বসছেন প্রধান বিচারপতি।

সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৩টায় এ ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে।
 
গত ২৭ এপ্রিল মামলার জট এবং মামলা ব্যবস্থাপনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতির সামনে ওই তথ্য উপস্থাপনের পর প্রধান বিচারপতি সব বিচারপতিদের সঙ্গে এক মাসের মধ্যে বসার ঘোষণা দেন।

পরদিন  এক মামলার শুনানিকালে আপিল বিভাগে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের কাছে মামলা জট নিয়ে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বর্তমানে এতো মামলা যে ফাইল রাখার মতো পর্যন্ত জায়গা নেই। এক কথায় ক্রিটিক্যাল অবস্থা। এভাবে চলতে পারে না।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ প্রমুখ।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, জিআইজেডের (জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন বাংলাদেশ) উপস্থাপন করা সুপ্রিম কোর্টের মামলার নিরীক্ষা প্রতিবেদন দেখে আমি প্রায় বিব্রত। এতো মামলা! এভাবে চলতে পারে না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি মামলা জট নিরসন বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতিদের নিয়ে বসবো।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ফুলকোর্ট সভার ঘোষণা এলো। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে জাজেস লাউঞ্জে ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত  হবে।   
 
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট বাংলাদেশ’ শীর্ষক শেয়ারিং ইভেন্ট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পাদিত ন্যাশনাল জাস্টিস অডিটের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়।

জাস্টিস অডিটের ফলাফল উপস্থাপনায় দেখা যায়, ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে বিচারাধীন মামলার প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১৪ শতাংশ, দায়রা আদালতে এ হার ১৬ শতাংশ এবং সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে এ প্রবৃদ্ধির হার ৯ শতাংশ। এভাবে চলতে থাকলে ২০২২ সালে মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত, দায়রা আদালত এবং হাইকোর্ট বিভাগে আগের বছরগুলো থেকে আসা মামলার পরিমাণ হবে যথাক্রমে ৭২ শতাংশ, ৮০ শতাংশ এবং ৯০ শতাংশ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে মামলা ব্যবস্থাপনায় বিশেষ পদক্ষেপ নিতে উপস্থাপনায় পরামর্শ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
ইএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।