ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

প্রিন্স মুসার মুদ্রাপাচার মামলার প্রতিবেদন ৭ জুলাই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৯
প্রিন্স মুসার মুদ্রাপাচার মামলার প্রতিবেদন ৭ জুলাই মুসা বিন শমসের

ঢাকা: মুসা বিন শমসেরের (প্রিন্স মুসা) বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচারের অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের দায়ের করা মামলায় প্রতিবেদন দেননি তদন্তকারী কর্মকর্তা।

বুধবার (২৯ মে) এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন না দেওয়ায় মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আগামী ৭ জুলাই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন ধার্য করেন।

গত ৩০ এপ্রিল একই আদালত ২৯ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তদন্তকার্রী কর্মকর্তাকে।

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন রাজধানীর গুলশান থানায় মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইনে প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর তিন আসামি হলেন— মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আইয়ুব আলী আনছারী ও মেসার্স অটো ডিফাইন নামে গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ওয়াহিদুর রহমান।

গত বছরের ২১ মার্চ মুসার ছেলের শ্বশুর বাড়ি থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে একটি গাড়ি উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারপর মুসাকে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভোলা বিআরটিএর কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজ দিয়ে উদ্ধারকৃত গাড়িটি রেজিস্ট্রেশন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। মুসা বিন শমসের ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করেন। শুল্ক গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই গাড়িতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক প্রযোজ্য ছিলো।

শুল্ক গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। তবে তিনি এই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।

ওই ঘটনায় তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে মামলা করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সুপারিশও করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। পাশাপাশি কর ফাঁকি দেওয়া অর্থপাচারের অভিযোগে মামলার অনুমতি চাওয়া হয় রাজস্ব বিভাগের কাছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পর মামলাটি দায়ের করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৯
এমএআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।