এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াসমিনকে (২০) পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এবং সাত বছর দণ্ডপ্রাপ্ত শারমিন (১৮), মো. আবুল কালাম (৩৮) ও জাকির হোসেনকে (৩২) ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুর ১টায় মুন্সিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াসমিন ও শারমিন জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কাজীরবাগ গ্রামের ফজল খানের মেয়ে। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম ঢাকার ডেমরার মৃত মোসলেম মাস্টার ও জাকির হোসেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার লক্ষনঘাটি গ্রামের আরব আলীর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৫ মে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কাজীরবাগ গ্রামের জাহাঙ্গীর শেখের কিশোরী মেয়ে রিমু আক্তারকে ফুসলিয়ে একই গ্রামের দুই বোন ইয়াসমিন ও শারমিন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আবুল কালামের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আবুল কালাম ও জাকির হোসেনের কাছে রিমুকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ঘটনার পরদিন ১৬ মে কিশোরীর বাবা জাহাঙ্গীর শেখ বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় মামলা দায়ের করেন। একই দিন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জাকির হোসেনের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে সিরাজদিখান থানা পুলিশ রিমুকে উদ্ধার করে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
আরএ