ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফের পেছালো মুসার মুদ্রাপাচার মামলার প্রতিবেদন জমা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৯
ফের পেছালো মুসার মুদ্রাপাচার মামলার প্রতিবেদন জমা

ঢাকা: আলোচিত ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের (প্রিন্স মুসা) বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচারের অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ আবারও পিছিয়ে আগামী ৪ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার (৭ জুলাই) এ প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী নতুন দিন ধার্য করে এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল আদালত ২৯ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে।

কিন্তু ২৯ মে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ৭ জুলাই নতুন দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু এই তারিখেও মামলার প্রতিবেদন জমা পড়লো না।

২০১৭ সালের সালের ২১ মার্চ মুসার ছেলের শ্বশুর বাড়ি থেকে শুল্কফাঁকির একটি গাড়ি উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারপর মুসাকে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। তবে তিনি এই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।

ওই ঘটনায় তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুসার বিরুদ্ধে শুল্কফাঁকি ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলার অনুমতি চাওয়া হয় রাজস্ব বিভাগের কাছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পর ওই বছরের ৩১ জুলাই শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন গুলশান থানায় মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইনে ওই মামলা দায়ের করেন। মামলায় মুসা ছাড়াও আসামি করা হয় মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী (যার নামে গাড়ি নিবন্ধিত), বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আইয়ুব আলী আনছারী ও মেসার্স অটো ডিফাইন নামে গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ওয়াহিদুর রহমানকে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভোলা বিআরটিএর কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজ দিয়ে গাড়িটি বেনামে নিবন্ধন করেন। ওই গাড়িতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক প্রযোজ্য ছিলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
এমএআর/এইচএ/
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।