বুধবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, শুনানি শেষে এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলটি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ভবিষ্যতে রায়ের জন্য রেখেছেন।
দণ্ডের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি শুনানিতে বলেছি ট্রাইব্যুনাল বিচার-বিশ্লেষণ করেই মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন। তাই ট্রাইব্যুনালের সে সাজায় হস্তক্ষেপের কোনো কারণ নেই। আমি আশা করি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়টিই আপিল বিভাগ বহাল রাখবেন।
১৮ জুন আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ শুনানি শুরু হয়েছিল।
পরে ১ জুলাই থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। এর আগে গত ১০ এপ্রিল শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযোগ ছাড়াও তিনি যে আলবদর কমান্ডার ছিলেন তাও প্রমাণিত হয়েছে রায়ে।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
ইএস/এএ