একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে তার বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশও দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বুধবার (১০ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ রায় দেন।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, বিচারিক আদালত নূর হোসেনকে অব্যাহতির আদেশ দিলে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন করে দুদক। তখন আদালত রুল জারি করেন। বুধবার হাইকোর্ট সেই রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ রায় দেন। ফলে বিচারিক আদালতের অব্যাহতির আদেশ বাতিল হয়ে গেলো। এখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি চলবে। এবং এ মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মামলার বিবরণ থেকে উল্লেখ করে আমিন উদ্দিন মানিক বাংলানিউজকে জানান, নূর হোসেন ১৯৯৭ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে প্রাপ্ত ভূমি উন্নয়ন করের এক শতাংশ অর্থ বরাদ্দের পাঁচ লাখ টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি তৎকালীন জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরো, নারায়ণগঞ্জের তদন্তে প্রমাণিত হলে পরিদর্শক ঋত্বিক সাহা ২০০২ সালের ২৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত শেষ করে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল হোসেন ২০১১ সালের ১৯ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি দেরিতে দায়ের করা হয়েছে এই কারণে নারায়ণগঞ্জের বিশেষ জজ আদালত ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আসামিকে অব্যাহতি দেন। তার অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন দায়ের করেন। হাইকোর্ট এই বিষয়ে ওই বছরের ২৮ জুন রুল জারি করেন। ’
বুধবার হাইকোর্ট রুলটি যথাযথ (অ্যাবসলিউট) মর্মে রায় দিয়ে ছয় মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
ইএস/এসএ