ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফারুক হত্যা: সাঈদীসহ ১০৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
ফারুক হত্যা: সাঈদীসহ ১০৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ১০৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে শুনানি শেষে এ অভিযোগ গঠন করা হয়।

শুনানি শেষে আদালতের বিচারক এনায়েত কবির সরকার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ জারি করেন।

আর এর মধ্য দিয়ে ঘটনার দীর্ঘ নয় বছর পর আদালতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার বিচারকার্য শুরু হলো।  

অভিযোগ গঠনকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাঈদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতে হাজির করার জন্য কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে গত সপ্তাহে সাঈদীকে রাজশাহী কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। এর পর তাকে আদালতে হাজির করা জন্য বুধবার (২৫ জুলাই) থেকে আদালত চত্বরের ভেতর নিরাপত্তা বাড়ানোয় বিষয়টি জানাজানি হয়।  

একটি প্রিজনভ্যানে করে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাকে রাজশাহীর আদালত চত্বরে নেওয়া হয়। পরে হুইল চেয়ারে বসিয়ে তাকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। তল্লাশি ছাড়া কাউকে আদালত চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শিরাজি শওকত সালেহীন সাংবাদিকদের জানান, ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় সাঈদীসহ সর্বমোট ১০৪ জন আসামি রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, মামলায় সাঈদীসহ আরও ৬০ জন আসামি জামিনে আছেন। বাকিরা পলাতক। অভিযোগ গঠনের সময় আসামিদের হাজির থাকতে হয়। তাই অন্য আসামিদের মত সাঈদীকেও রাজশাহী কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সশস্ত্র তাণ্ডব চালায়। রাতভর চিৎকার ও গুলির শব্দে গোটা ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এ নৃশংসতায় ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক নিহত হন।

পর দিন সকালে মহানগরের মতিহার থানা পুলিশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি ম্যানহোল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। ফারুক রাবির গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি জয়পুরহাট জেলার খোর্দ্দ সবুনা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে মহানগরের মতিহার থানায় মামলা করেন। পরে ২০১২ সালের ৩০ জুলাই রাবি শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। রাজশাহীর সিএমএম আদালতে রাজপাড়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার আদালতে এর শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
এসএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।