দণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মিরাজ উদ্দিন খুলনা জেলা কারাগারে বন্দি।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩’র বিচারক মো. মহিদউজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ। তিনি বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর এক গৃহবধূ তার পাঁচ বছরের শিশুকে নিয়ে স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে খালিশপুর মুজগুন্নি পার্কে বেড়াতে যান। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল পরিচয়দানকারী মিরাজ উদ্দিন মোটরসাইকেল করে এসে তাদের ছবি তোলেন। এরপর তাদের ব্লাকমেল করে ২২০০ টাকা আদায় করেন। একপর্যায়ে ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূর স্বামীর বন্ধুকে ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেন। এর পরে মিরাজ উদ্দিন ওই গৃহবধূকে গল্লামারি চৌধুরী আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। কিন্তু স্বামীর বন্ধু তাদের গতিবিধি অনুসরণ করে বিষয়টি খালিশপুর থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার ও মিরাজ উদ্দিনকে আটক করে।
ওই ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৪০-২৬-১২-১৭। মামলায় তাকে ধর্ষণ ও অপহরণের কথা উল্লেখ করেন। ১২জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/