সোমবার (০৫ আগস্ট) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিনও তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দিতে পারেননি।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর। দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্ত দেওয়া হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতারের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন এসেছে দুইবার। পাল্টেছে তদন্ত কর্মকর্তাও।
বিচার প্রক্রিয়ায় এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত ৬৬ বার সময় নেন তদন্ত কর্মকর্তারা। হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তদন্তেই আটকে আছে বিচার।
এদিকে মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার ৮ জনের কেউই এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি। মামলার আসামিদের মধ্যে দুইজন বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পাল ও কথিত বন্ধু তানভীর রহমান জামিনে আছেন।
অন্য ছয় আসামি মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুন, রফিকুল ইসলাম, এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিল ও আবু সাঈদ কারাগারে আটক আছেন। মামলাটিতে এ পর্যন্ত ১৫৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
এমএআর/জেডএস