বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মো. খাদেম উল কায়েশ এ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এ দু’জন হলেন- ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাকিম খুরশীদ আলম।
এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। কিন্তু জেরা শেষ না হওয়ায় এজন্য আগামী ৫ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ২৫ জুলাই একই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরী।
মামলার আসামিদের মধ্যে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ও সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম কারাগারে রয়েছেন। সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিব, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন জামিনে রয়েছেন।
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ৬ মে বনানী থানায় এ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই শিক্ষার্থী।
এরপর ৭ জুন পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা।
পরে ওই বছরের ১৯ জুন আসামিদের বিরুদ্ধ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ গঠন করা হয়। সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় গঠন করা হয় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ।
প্রথমে মামলা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে থাকলেও পরে তা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এমএআর/এইচএ/