ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সায়মা হত্যা: তদন্ত প্র‌তি‌বেদন দাখিল পিছিয়ে ৭ অ‌ক্টোবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
সায়মা হত্যা: তদন্ত প্র‌তি‌বেদন দাখিল পিছিয়ে ৭ অ‌ক্টোবর শিশু সামিয়া আফরিন সায়মার ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর ওয়ারীতে সিলভারডেল স্কুলের নার্সারির ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে (০৭) ধর্ষণের পর হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে। আসছে ৭ অ‌ক্টোবর ফের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এই দিন ধার্য করেন।

তদন্ত প্র‌তি‌বেদন দা‌খি‌লের জন্য সোমবার দিন ধার্য ছিল।

কিন্তু এ দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশের পরিদর্শক আরজুন প্রতিবেদন দাখিল না ক‌রে সম‌য়ের আ‌বেদন ক‌রেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে দাখিল পিছিয়ে ৭ অক্টোবর করা হয়।

এর আগে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৪ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছিল। সেদিন না হাওয়াতে ২৫ আগস্ট নতুন দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা এ দিনও প্রতিবেদন দাখিল না করাতে ফের পিছিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়।

মামলাটির একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদকে গত ৭ জুলাই তার বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরের দিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন হারুন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারেই।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুলাই সন্ধ্যা থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওয়া‌রী‌তে নিজেদের নবনির্মিত ভবনের নয়তলার খালি ফ্ল্যাটের ভেতরে সায়মাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। পরে খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। ঘটনার পরের দিন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

পু‌লিশ জানায়, ওই ভবনের ছয়তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো সায়মা। তার বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল সায়মা।

হত্যাকা‌ণ্ডের পর আব্দুস সালাম জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সায়মা তার মা‌কে খেলাধুলা করার কথা বলে ভবনের ওপরে যায়। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। অনেক খুঁজে নয়তলায় খালি ফ্ল্যাটের ভেতরে গলায় রশি দিয়ে বাঁধা ও মুখ রক্তাক্ত অবস্থায় পাই সায়মাকে।

মরদেহটির ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেছিলন, প্রাথমিকভাবে সায়মার শরীরে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ধর্ষণের পর তাকে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

তিনি এও বলেন, ময়নাতদন্তে তার যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন, মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন এবং ঠোঁটে কামড়ের দাগ দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।