মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হওয়া মামলায় সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতারদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক পরিদশ চন্দ্র। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়া তিন জনের তিনদিন ও দুই জনের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেফতারদের মধ্যে গুলশান থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ আহমেদ মিয়াজি (৪৪), এপিবিএনের কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল (২৩) ও নায়েক মো. জাহাঙ্গীর আলমের (২৭) তিনদিন এবং এপিবিএনের কনস্টেবল মো. রনি মোল্ল্যা (২১) ও কনস্টেবল মো. শরিফুল ইসলাম (২৩) এর দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এপিবিএনের চার পুলিশ সদস্য এবং গুলশান থানার এক এএসআইকে গ্রেফতার করা হয়। পৃথক অভিযানে তাদের আটক করে উত্তরা পূর্ব থানা ও এপিবিএন। অভিযানে অংশ নেওয়া অফিসার ও মামলার বাদী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১ এর এসআই মো. জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে তিনি জানান, ‘গত ১১ সেপ্টেম্বর এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজিসহ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১ এর চার কনস্টেবল গুলশান ১-এর গুদারা ঘাট চেকপোস্টে দায়িত্বরত ছিলেন। ওইদিন তারা একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে আটক করেন। এ সময় তাকে তল্লাশি করে ৫২২ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। কিন্তু তারা জব্দকৃত ওই মাদক সংশ্লিষ্ট থানায় জমা না দিয়ে নিজেরা নিয়ে যান এবং মোটরসাইকেল আরোহীকে ছেড়ে দেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘রোববার উত্তরায় এপিবিএন’র ব্যারাকের বাথরুমে প্রশান্তসহ আরেকজন কনস্টেবল ইয়াবা বিক্রির জন্য প্যাকেট করছিল। বিষয়টি আমি বুঝতে পেরে থানায় ফোন দেই। পুলিশ এসে তাদের ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। পরে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়।
আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ৩৬ (১) ও ৪১ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
জেডএস