রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান আগামী ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠন শুনানির নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।
২০১৬ সালের ৩১ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। অভিযোগপত্রে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। গত ১৯ মার্চ আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে একই আদালত ১১ জনকে অব্যাহতি দেন। এছাড়াও এ মামলার পলাতক আসামি জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম (২৪) (সাংগঠনিক নাম সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান), মো. আ. সবুর (২৩) (সাংগঠনিক নাম আ. সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাধ), খাইরুল ইসলাম (২৪) (সাংগঠনিক নাম জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব), মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫) (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), মো. শেখ আব্দুল্লাহ (২৭) (সাংগঠনিক নাম জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের), সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক (৫০) (সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই) এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব (২৮) (সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ)।
অভিযুক্তদের মধ্যে ছয়জনকে গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেফতার করেছে এবং তারা প্রত্যেকেই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অব্যাহতির সুপারিশ করা আসামিরা হলেন- আরাফাত রহমান, সেলিম ওরফে হাদী, আলম, আকাশ, তৈয়ব, জনি, আসাদ, হাসান, তালহা, শরিফুল ও তারেক।
চার্জশিটে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন পলাতক সৈয়দ জিয়াউল হক। আসামি খাইরুল, আবদুস সবুর ও মইনুলকে তিনি হত্যাকাণ্ডের আগে প্রশিক্ষণ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
এএ