জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ নির্দেশ দেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালককে বিষয়টি অনুসন্ধান করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মো. মিলনের চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম. সাইফুদ্দিন খোকন।
রিট আবেদনকারী নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
রিট আবেদনে ২৭ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘গলাকেটে হত্যা করে বাইক, ফোন ছিনতাই’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট (রোববার) দিনগত রাতে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার উড়াল সড়কের ওপর গলাকেটে মো. মিলন (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেলের চালককে হত্যা করা হয়েছে।
পরে দ্রুত মিলনকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে মিলনের গলায় ক্ষতস্থানে সাতটি সেলাই করা হয়। কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর সোমবার (২৬ আগস্ট) ভোর পৌনে ৬টার দিকে মারা যান মিলন।
এ ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন তার স্ত্রী শিল্পী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
ইএস/জেডএস