এছাড়া গত ১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেওয়া অ্যাডভোকেট সবির নন্দী দাশ ও তার সহকারী গোবিন্দ চন্দ দেবকে আসামিপক্ষ এদিন জেরা করে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৭ জুলাই আদালত আসামি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ জুলাই দিন ধার্য করেন। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিন ৩১ জুলাই বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন সাক্ষ্য দেন। তাকে জেরা করা হয় ২০ আগস্ট।
এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেন বাদী মনোনীত দুই সাক্ষী অ্যাডভোকেট সবির নন্দী দাশ ও তার সহকারী গোবিন্দ চন্দ দেব। সবশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য দেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার ও ভাই রাশেদ হাসান রায়হান। ওইদিন সাক্ষীদের জেরা শেষে ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটির পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে ‘অসম্মানজনক’ কথা বলায় ও তার জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল সাইবার ট্রাইব্যুনালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওইদিনই আদালত এ মামলার তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
গত ২৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানার পক্ষে মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বাদীসহ ১৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এর মধ্যে সোনাগাজী থানার চার পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। একইদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। চলতি বছরের ১৬ জুন রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে ওসিম মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিরাজ-উদ দৌলাকে পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অভিযোগ দেওয়ার সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্নের পাশাপাশি তার বক্তব্য ভিডিও করেন ওসি মোয়াজ্জেম। পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, মৌখিক অভিযোগ নেওয়ার সময় দু’জন পুরুষের কণ্ঠ শোনা গেলেও সেখানে নুসরাত ছাড়া অন্য কোনো নারী বা তার আইনজীবী ছিলেন না।
গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষার আগ মুহূর্তে বান্ধবীকে মারধরের কথা বলে নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় দুর্বৃত্তরা। মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। ওইদিন নুসরাতকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এএ