ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

একাদশে ভর্তিতে অতিরিক্ত ১১ শতাংশ কোটার বৈধতা চ্যালেঞ্জ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
একাদশে ভর্তিতে অতিরিক্ত ১১ শতাংশ কোটার বৈধতা চ্যালেঞ্জ

ঢাকা: ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০১৯ এর ঘোষিত আসনের অতিরিক্ত ১১ শতাংশ কোটার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

রিট আবেদনে ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি নেওয়া ও অনুপস্থিতির জন্য জরিমানা আদায় বাতিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

ভিকারুননিসার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ রিট করেন।

 বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

পরে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, চলতি বছরের ২১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়  ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০১৯ জারি করে। ওই নীতিমালার ৩.২ ধারায় বলা হয়েছে, বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের শতভাগ আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পরে যদি বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কোনো আবেদনকারী থাকে তাহলে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য, ৩ শতাংশ বিভাগীয় এবং জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দপ্তরসমূহ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা,শিক্ষক,কর্মচারী ও স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যদের সন্তানদের জন্য, ০.৫ শতাংশ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এর জন্য এবং ০.৫ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উপযুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে এ আসন কার্যকরী থাকবে না।

ধারা ৫.৫.২ এ বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে পারবে না।

তার মতে, শতভাগের বাইরে ১১ শতাংশ কোটা রাখা অবৈধ। রাখতে হলে শতভাগের ভেতরে রাখতে হবে। আর ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার অতিরিক্ত অর্থ না নেওয়ার বিধান থাকলেও ভিকারুননিসা ভর্তির সময় আট হাজার ৩০০ টাকা নিচ্ছে। এছাড়া অনুপস্থিতির জন্য ৫০ টাকা এবং ৩০ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু যে কোন অসুস্থতা, ডেঙ্গু জ্বর ব্যক্তিগত অসুস্থতার কারণে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকতে পারে। এ জন্য কোনো কারণ না দর্শায়ে অনুপস্থিতি জরিমানা অবৈধ। এ কারণে রিট আবেদন করা হয়েছে।   

আবেদনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢকার চেয়ারম্যান, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এডহক কমিটির চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে।  

ভর্তির নীতিমালা অনুসারে পাঁচ হাজার টাকার বাইরে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া এবং অনুপস্থিতির জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া কেন অবৈধ হবে না, শতভাগ আসনের বাইরে ১১ শতাংশ কোটায় ভর্তি না করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯,২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।