ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বা‌ছির-‌মিজা‌নের বিরু‌দ্ধে প্র‌তি‌বেদন ১১ ন‌ভেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৯
বা‌ছির-‌মিজা‌নের বিরু‌দ্ধে প্র‌তি‌বেদন ১১ ন‌ভেম্বর এনামুল বাছির ও ডিআইজি মিজান

ঢাকা: দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশ‌নের (দুদক) প‌রিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ও পু‌লি‌শের ডিআই‌জি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় প্র‌তি‌বেদন দা‌খি‌লের জন্য ১১ ন‌ভেম্বর দিন ধার্য করে‌ছেন আদালত।

বুধবার (২ অ‌ক্টোবর) প্র‌তি‌বেদন দা‌খি‌লের কথা ছিল। ত‌বে দুদ‌কের প‌রিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা তদন্ত প্র‌তি‌বেদন দা‌খিল না করায় ঢাকার সি‌নিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কা‌য়েশ নতুন এ দিন ধার্য ক‌রেন।

গত ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্যা মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে ডিআইজি মিজান ও সংস্থার পরিচালক বাছিরের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।

৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পর দুদক পরিচালকের পদ থেকে খন্দকার এনামুল বাছির ও পুলিশের ডিআইজির পদ থেকে মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গত ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে মিজান দাবি করেন।

এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং কমিটি ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।

অন্যদিকে, ২০১৮ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকাকে জোর করে বিয়ে করার সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরসহ দুদকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এরপর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে বিতর্কিত ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। পরে ২৫ জুন তাকে সাময়িক বরখাস্তের কথা সাংবাদিকদের জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর মধ্যে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় জামিনের জন্য আদালতে গেলে মিজানকে কারাগারে পাঠান আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।