মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান এই আদেশ দেন।
মাদক আইনে গুলশান থানার মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সেলিম প্রধানের দুই সহযোগী হলেন- আক্তারুজ্জামান ও রোকন।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম এই মামলায় তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২ অক্টোবর গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব।
এদিকে সেলিম প্রধানের হেফাজত থেকে দু’টি হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থাই এয়ারওয়েজের ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইট থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র্যাব। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ফ্লাইট ছাড়ার আগ মুহূর্তে তাকে আটক করা হয়।
এরপর সেলিম প্রধানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার গুলশানের কার্যালয় এবং বনানীর বাসায় অভিযান চালান র্যাবের সদস্যরা।
অভিযানে ৪৮টি বিদেশি মদ, ২৯ লাখ টাকা, ২৩টি দেশের মোট ৭৭ লাখ সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, ২টি হরিণের চামড়া, ৩টি ব্যাংকের ৩২টি চেক এবং অনলাইন গেমিং পরিচালনার একটি বড় সার্ভার জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
কেআই/জেডএস